আপডেট প্রতিদিন, দিল্লী, বেবি চক্রবর্ত্তী:- এবারের নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। মোট সাত জন মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। বিরোধী শিবিরের মধ্যে কেবল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে যোগদান করেন। কিন্তু বৈঠকে তাঁকে পর্যাপ্ত সময় বলতে দেওয়া হয়নি বলে ওয়াক আউটের সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেত্রী। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত হল নীতি আয়োগের বৈঠক। এই বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বৈঠকের সভাপতিত্ব করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আশ্চর্যের বিষয়, এনডিএ জোটের অন্যতম শরিক বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এই বৈঠকে অংশ নিলেন না।যদিও নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ-এর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও একাধিকবার নীতি আয়োগ এর বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন।

বিহারের তরফে রাজ্যের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি এবং বিজয়কুমার সিংহ নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তবে দু’জনই বিজেপির সদস্য। নীতিশ কুমারের এই অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপা গুঞ্জন।সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি-র সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য দেশের মসনদে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবারের বাজেটে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশাল অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। সেখানে নীতি আয়োগের বৈঠকে নীতিশ কুমারের অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্ন তৈরি করছে। অতীতেও অতীতেও জেডিইউ সুপ্রিমোর ‘পাল্টি’ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন এনডিএ বিরোধীরা।