আপডেট প্রতিদিন, পশ্চিম মেদিনীপুর, বেবি চক্রবর্ত্তীঃ- চাং শিল্প কেবল একটি বাদ্যযন্ত্র নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং গ্রামের লোধা সম্প্রদায়ের মানুষদের ঐতিহ্যবাহী চাং শিল্প বিলুপ্তির পথে। এই শিল্প একসময় গ্রীষ্মে বিভিন্ন দেবদেবী সহ একাধিক গান গেয়ে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান কিংবা মনোরঞ্জনের আসর বসাতেন লোধারা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের দশগ্রাম পঞ্চায়েতের খাজুরি এলাকার মাত্র তিনজন লোধা সম্প্রদায়ের মানুষ – শম্ভু কোটাল, গুরুপদ কোটাল ও পূর্ণ কোটাল – এই চাং শিল্পকে ধারণ করে চলেছেন। তাদের ব্যবহৃত চাং বা বিশেষ এই বাদ্যযন্ত্র প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। তবে বর্তমানে চাং শিল্পের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ায় এটি বিলুপ্তির পথে।
সবং ব্লকের দশগ্রাম এর খাজুরি এলাকার মাত্র তিনজন লোধা সপ্রদায়ের মানুষ শম্ভু, গুরুপদ ও পূর্ণরা এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন।এই তিনজনই অক্ষর-জ্ঞানহীন খুব সাদাসিধা মানুষ। বর্তমানে এদের অবস্থা তথৈবচ। বর্তমানে তারা পেশায় দিনমজুর ও ভিক্ষাজীবী করেই দিন গুজরান করছেন। চাং নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষে করে সামান্য উপার্জনে চলে না সংসার। এই চাং বর্তমানে অবলুপ্তির পথে হলেও এখনও পরম্পরা আগলে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে পরবর্তী প্রজন্ম এই শিল্পকে মনে রাখবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও লোকশিল্পী গুলির মধ্যে অন্যতম এই চাং শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকার ও সংস্কৃতিবানদের কাছে করুন আর্তি জানিয়েছেন বিলুপ্তপ্রায় শিল্পীরা।