স্বর্গরাজ্যে পাড়ি দিলেন লালপাহাড়ির দেশে যা গানের স্রষ্টা কবি অরুণ চক্রবর্তী
আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী, হুগলী :- লাল পাহাড়ির দেশ যা গানের শ্রষ্টা কবি অরুন চক্রবর্তী স্বর্গের দেশে পাড়ি দিলেন। চুঁচুড়ার বাসিন্দা কবি শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর৷ রাত একটা নাগাদ চুঁচুড়া ফার্ম সাইড রোডে তাঁর সোনাঝুড়ি’ নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপরই স্থানীয় এক চিকিৎসক এসে জানায় তিনি প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে কবি রেখেগেলেন স্ত্রী দুই ছেলে বৌমা ও নাতি। কবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিধায়ক অসিত মজুমদার, চুঁচুড়া পৌরসভার পৌর প্রধান অমিত রায়, প্রাক্তন পৌর প্রধান গৌরীকান্ত মুখার্জি, কাউন্সিলর জয়দেব অধিকারী, বাঁশবেরিয়া পৌরসভার উপ-প্রধান শীল্পি চ্যাটার্জি , বিজেপি নেতা সুবির নাগ, আইনজীবী স্বপন পাল, পুলিশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সংবাদমাধ্যমের আধিকারিকরা।সহ শহরের বইমেলা কমিটি ও বিশিষ্টজনরা। তার মরদেহ চুঁচুড়ার বাড়ি থেকে রবীন্দ্র ভবনে আনা হয় সেখানে হুগলি জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর, জেলা প্রশাসন ও হুগলি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকেও শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও তার অনুগামী বন্ধুবান্ধব সকলেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং লাল পাহাড়ের দেশে যা গানের মধ্য দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানান। তার জীবনের সমস্ত কিছু সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে যানান ব্যক্তিরা।
![অরুণ চক্রবর্তী অরুণ চক্রবর্তী](https://updatepratidin.in/wp-content/uploads/2024/11/image-31.webp)
কবির বৌমা সুদেষ্ণা চক্রবর্তী বলেন,গতকাল কলকাতার মোহরকুঞ্জে জঙ্গল মহল উৎসবের উদ্ধোধনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। একটু ঠান্ডা লেগেছিল। হঠাৎই রাত ১২ টায় অসুস্থতা বোধ করেন।পরে স্থানীয় চিকিৎসক এসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে সকলের কাছেই পরিচিত তিনি। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।অরুন চক্রবর্তী শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে হিন্দুস্থান মোটরে চাকরি করতেন। তখন থেকেই লেখালেখি করতেন। চাকুরী জীবন তাঁর ভালো লাগত না। মাঝে মধ্যেই মাটির টানে বাঁকুড়া পুরুলিয়ার চলে যেতেন। অসংখ্য কবিতা রয়েছে কবি অরুন চক্রবর্তীর। তবে ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’ কবিতা তাঁকে অন্য পরিচিতি দেয়। যা পরে গান হয়ে বিভিন্ন ভাষায় দেশে বিদেশে পরিচিতি পায়।অরুণ চক্রবর্তী মানেই লাল পোশাক, সঙ্গে কাঁধে ঝোলা ব্যাগ। সবাইকে তিনি বুড়ো বলে সম্বোধন করতেন। ছোটদের সঙ্গে দেখা হলে দিতেন চকোলেট। চাকরির পাশাপাশি চলেছে তাঁর কলমও। লিখেছেন বহু কবিতা।