আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী :- তখন স্বাধীনতী আন্দোলনের অগ্নিমঞ্চে সুপ্ত বিপ্লবের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন যে সমস্ত অগ্নিময়ী অশ্রুসিক্ত নারী আজও তাঁরা যেন কোথায় ! বইয়ের পাতায় স্থান হয়নি তাঁদের, আন্ধকারের অন্তরালে রয়েছে বেদনাদায়ক স্তব্দ ইতিহাস | ১৯৩১ সালে কুমিল্লার দুই ছাত্রী ম্যাজিস্ট্রেট হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হন | চট্টোগ্রামে অস্ত্রাগার লুন্ঠনের অন্যতম নেতা অনন্ত সিং -এর দিদি ইন্দুমতী সিং -ও অস্ত্রচালনায় দক্ষ ছিলেন |১৯১২ সালে সেনেট হলে বাংলার লাট সাহেবকে হত্যার চেষ্ঠা করেন বীণা দাস | বহু অত্যাচারেও তাঁকে দিয়ে কথা বলানো যায়নি | নেত্রী কমলা দাসগুপ্ত দীর্ঘকীল কারাবাস করেন, কিন্তু তাঁকে কোনওভাবে দমাতে পারিনি পুলিশ | আর এক বীরাঙ্গনা বনলতা দাসগুপ্তকে বীণা দাসের সঙ্গে থাকার অজুহাতে গ্রফতার করা হয় | তাঁকে হাজতে বা জেলের সেলে একলা রেখে প্রচন্ড পাওয়ারের আলো জ্বেলে রাখা হত যাতে তিনি ঘুমাতে না পারেন | তাঁর ওপর চলত একটানা দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা | কিন্তু মনোবল অটুট ছিল তাঁর, স্বীকারোক্তি আদায় করা যায়নি তাঁর কাছ থেকে |
বিল্পবী নিবারণ ঘটকের মাসিমা বীরভূমের দুকড়ি বালা দেবী | নিবারণ ঘটক মাঝে মাঝে বিপ্লবীদের মাসির বাড়িতে আনতেন আশ্রয়ের জন্য | বিপ্লবীদের “মাসিমা” দুকড়ি বালা আশ্রয় দিতেন বিপিন গাঙ্গুলির মত বিপ্লবীকে | বিপ্লবীও হরিদাসও গারোয়ানের ছদ্মবেশে ৯ বাক্স কাতুর্জ আর ৫০ টি মসার পিস্তল চুরি করেছিলেন | চুরি করা সাতটি পিস্তল দুকড়ি বালা দেবীর কাছেই রাখা ছিল | পুলিশ জালতে পেরে দুকড়ি বালার বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল ১৯১৭ সালের ৮ই জানুয়ারি তে হাতে নাতে ধারাও পড়েছিলেন | শিশুসন্তান কে রেখে দু’বছরের জন্য জেলে গিয়েছিলেন | তৃতীয় শ্রেণীর কয়েদি হয়ে |
অখাদ্য খাবার , চটের মোটা জামা কাপড় ছিল তাঁদের জন্য বরাদ্দ | যৌন নির্যাতন , মল দ্বারে রুল ভরে দেওয়া, চোঁখে পিন ফুঁটিয়ে দেওয়া, আঙুলের নখ টেনে তুলে নেওয়ার মত অমানুষিক অত্যাচার করা হত তৃতীয় শ্রেণির কয়েদিদের | আর দিনে কুড়ি কিলো করে ডাল ভাঙা ছিল তাঁদের জন্য বরাদ্দ | সেই অত্যাচার সহ্য করেও তিনি বাবাকে চিঠি লিখেছিলেন “ভালো আছেন” জানিয়ে ……. এ সব বাঁধ ভাঙা অশ্রুসিক্ত গল্প না বাস্তব|
চিওরঞ্জন দাশের সঙ্গে যখন বাসন্তীদেবীর বিবাহ হয় তখন তিনি ছিলেন ব্রিফলেস ব্যারিস্টার | সাহিত্য চর্চা ছিল তাঁর প্রিয় বিনোদন | ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলন করার জন্য চিত্তরঞ্জন দাশকে গ্রেফতার করা হয় | বেশ কিছুদিন কারাবাস করতে হয় তাঁকে | এই সময় অত্যন্ত দক্ষতার সাঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের পত্রিকা “বাংলার কথা” প্রকাশনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাসন্তীদেবী | কবি নজরুল ইসলামের “কারার ওই লৌহকপাট” কবিতাটি প্রকাশ করেন ওই সময় | ধনী কন্যা বাসন্তীদেবী বিয়ের সময় তাঁর পিতার কাছ থেকে প্রচুর যে গয়না পেয়েছিলেন তা নানা প্রয়োজনে স্বামীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন | পরে যখন চিত্তরঞ্জন দাশ প্রচুর উপার্জন করতে শরু করেন তখন তাঁর মায়ের অনুরোধে স্ত্রীকে অনেক গয়না কিনে দেন | উপার্জন ও খ্যাতি যখন তুঙ্গে তখন চিত্তরজ্ঞন দাস গান্ধিজির অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিতে চাইলেন | দেশের প্রয়োজনে আইন ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে পুরো সময়ের জন্য আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লেন | বাসন্তীদেবীর তাতে ছিল পূর্ণ সমর্থন | শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন | ১৯২১ সালের ৭ ই ডিসেম্বর বড়োবাজারে খদ্দর বিক্রি করতে গিয়ে বাসন্তী দেবী ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা গ্রেপ্তার হন |
বাসন্তীদেবীর গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ামাত্র কলকাতা বুকে আগুন জ্বলে ওঠে | হাজার হাজার মানুষ সেদিন বড়োবাজার থানা ঘেরাও করে গ্রেপ্তারবরণ করার জন্য প্রস্তুত হয় | অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ বাসন্তী দেবী ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের মুক্তি দেয় | কিন্তু বিপুল সমাগমে গোটা শহরের যান চলাচল তখন স্তব্ধ হয়ে গেছে | প্রতিটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে অগণিত মানুষ | আসহযোগ আন্দোলনে আইন অমান্য করে বাসন্তীদেবী প্রখম ভারতীয় নারী যিনি কারাবরণ করেন |
বাসন্তীদেবীকে সুভাষচন্দ্র বসু “মা” ডেকেছিলেন | সুভাষচন্দ্র বসুর মা বাসন্তীদেবীকে বলেছিলেন, আপনি মা, আমি তো ধাত্রী |যেদিন প্রিসিডেন্সি কলেজে ছাত্ররা ওটেন সাহেবকে মারধর করে সেদিনই প্রথম সুভাষচন্দ্রকে দেখেন বাসন্তীদেবী | সেদিন রাত্রে কয়েকজন ছেলের সঙ্গে সুভাষ এসেছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশের বাড়িতে | তারপর বেশ কিছুদিন পরে বিলেত থেকে আইসিএস পড়া ছেড়ে দিয়ে সুভাষচন্দ্র চিত্তরঞ্জন দাশের বাড়িতে আসেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে | চিত্তরজ্ঞন তখন বাড়িতে ছিলেন না | সেদিন বাসন্তীদেবীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে অন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেন | এরপর থেকেই প্রায়ই তিনি আসতেন বাসন্তীদেবীর কাছে |তাঁর কাছে অধিকাংশ দিনই ঘরের সাধারণ ছেলেটির মতো সেদ্ধভাত খেয়েছেন | বাসন্তীদেবী তাঁর স্মৃতিচারণায় বলেছেন ——” আমার হাতে ভাত খেতে সে বড় ভালোবাসত | ” প্রায়ই তো খাওয়াতে হত —অসময়ে এসে উপস্থিত হত |
মাত্র আটান্ন বছর বয়সে চিত্তরজ্ঞন প্রয়াত হন |স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর স্বপ্ন পূরণের জন্য বাসন্তীদেবী ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিপুল কর্মযজ্ঞে |
দেশবন্ধুর মৃত্যুর এক বছর আগে এক পতিত নারী এক ঝড় জলের রাতে দশবন্ধুর দরজায় এসে দাঁড়ায় | সঙ্গে তার শিশুকন্যা | দেশবন্ধুর পায়র কাছে ছোট একটি পুঁটলি রেখে সে বসছিল, এই আমার সারাজীবনের সম্বল | “এই টাকা দিয়ে আপনি এমন কিছু করুন যাতে আমাদের মতো অভাগিনী মেয়েদের পথে সন্তান প্রসব করতে না হয় | দেশবন্ধু মেয়েটিকে কথা দিয়েছিলেন | তার টাকা ফেরত দিয়ে বলেছিলেন —— ” তোমার এই সংকল্প পূর্ণ করতে আমি জীবন দিয়ে চেষ্ঠা করব |”
—- মৃত্যুর আগে তিনি প্রায় বাসন্তীদেবীকে বলতেন — সেই মেয়েটিকে কথা দিয়েছিলাম , বোধহয় রাখতে পারলাম না | মৃত্যু এসে জীবন থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে না দিলে তিনি নিশ্চিতভাবে এই কাজ করতেন তা বলাই বাহুল্য |
বাসন্তীদেবীর ইচ্ছায় মাতৃমঙ্গল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য তাঁর সঙ্গে হাত মেলালেন গান্ধিজি | কলকাতা শহরে র দরজা দরজা ঘুরেদু-লক্ষ টাকা চাঁদা তুললেন তিনি | মোট চার লক্ষ টাকা | তাতেই গড়ে ওঠে বর্তমানের চিত্তরজ্ঞন সেবাসদন | এর প্রায় পঁচিশ বছর পর গড়ে ওঠে চিত্তরজ্ঞন ক্যান্সার হাসপাতাল | চিত্তরজ্ঞন দাসের মৃত্যুর পর বাসন্তী দেবী বহির্জগৎ থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে স্বামীর প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থায় লোকচক্ষুর আড়ালে নীরবে কাজ করে গেছেন | জীবনের শেষ আধ্যায়ে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন | ১৯৭৪ সালের ৭ মে এই মহীয়সী নারী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন |
বিপ্লবী অমরেন্দ্র চ্যাটার্জীর পিসিমা ননীবালা দেবী | মাত্র ষোল বছরে বিধবা হয়ে তাঁদের বাড়িতেই থাকতেন | নিজে উৎসাহী হয়ে ভাইপোর কাছে বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েছিলেন | তিনি ছিলেন প্রথম মহিলা রাজবন্দী | যিনি জেলের সুপার ইন্টেন্ডেন্টে গোল্ডির কথামত দরখাস্ত লিখেছিলেন জেলার কে বাগবাজারে রামকৃষ্ণদেবের স্ত্রী সারদা দেবী আর্থাৎ সারদা মায়ের কাছে যেতে চেয়ে | কিন্তু গোল্ডি সেই দরখাস্তটি ছিঁড়ে ফেলে নিজে হাতে দলা পাকিয়ে বাতিল কাগজের ঝুড়িতে ফেলে দেন ননীবালা’র সামনেই | তখন ননীবালা রেগে গিয়ে সপাটে চড় বসিয়ে দিয়েছিলেন গোল্ডির গালে | এমনই আত্মসম্মান বোধ ছিল তাঁর| এই ননীবালা দেবী পুলিসের চোঁখে ধুলো দিয়ে কখনো চন্দননগরে আবার কখনো রিষড়াতে গৃহকর্তী সেজে ঘরভাড়া নিয়ে বিপ্লবীদের আশ্রয় দিতেন |
কখনও রামচন্দ্রবাবুর স্ত্রী সেজে | তিনি সমাজের চোখে ছিলেন বেশ্যাবৎ কর্ম কখনও আবার বিপ্লবী প্রমোধ চন্দ্র মিত্রের সঙ্গে পেশোয়া চলে গেলেন | সে যুগে একজন বিধবার পরপুরুষের সঙ্গে “সিঁদুর শাখা পরে দেশছাড়া মানে সমাজের চোখে বালি হওয়া |” গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ পেশোয়া গেলো, যখন তিনি ধরা পড়লেন তখন তিন দিনের কলেরা রুগী | স্ট্রচারে করে আনা হয়েছিল তাঁকে হাজতে তারপর কাশীর জেলে | ননীবালা বারবার একই কথা বলতেন — আমি জানি না! কাউকে চিনিই না ! জেরা করে কিছু না জানতে পেরে , শেষে ননীবালা নীরবতাকে আর সহ্য করতে না পেরে , তারা এসে ননীবালা দেবীকে টানতে টানতে নিয়ে গেল ছোট্ট একটা ঘরে | দুজনে মিলে তাঁকে মাটিতে ফেলে পোশাক খুলে দিয়ে গোপনাঙ্গে লঙ্কাবাটা ঢেলে দিতে লাগল | তীব্র যন্ত্রণায় ননীবালা প্রাণপণ শক্তিতে তাদের লাথি মারতে লাগলেন| জমাদারনিরা ওই অবস্থায় তাঁকে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে নিয়ে এসে , শুরু হল আবার জেরা| ননীবালার সপাট জবাব — কিচ্ছু বলবো না| যত খুশি শাস্তি দিন , কিচ্ছু বলবো না| যন্ত্রণায় ছটফট্ করেছেন , চিৎকার করেছেন তবুও কারও সন্ধান দেন নি | এরপর ব্যাবস্থা করা হল অন্যরকম শাস্তি , কাশির জেলের ভিতর মাটির নীচে ছিল পানিশমেন্ট সেল | একটা মাত্র দরজা| কোনও জানালা বা ছিদ্রও ছিল না | ঘুটঘুট্টি আলো বাতাসহীন ওই ঘরে রোজ আধঘন্টা করে ননীবালাকে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখা হত | তৃতীয় দিনে পৌনে একঘন্টা প্রায় রেখে দেয়| সেদিন যখন তাঁকে বার করা হয় তখন তিনি অক্সিজেনের অভাবে অজ্ঞান হয়ে গেছেন | শেলেও সংজ্ঞা হারিয়েছেন তবুও বিপ্লবীদের কোন সন্ধান দেন নি | এত শাস্তি দিয়েও ননীবালার কাছ থেকে পুলিশ কোনো তথ্যই আদায় করতে পারেনি |
বিপ্লবী নিবারণ ঘটকের মাসিমা বীরভূমের দুকড়ি বালা দেবী | ঐ জেলে থার্জ গ্রেডের শাস্তি লাঘব করতে ঊনিশ দিন জেলের মধ্যে অনটনশন করেন | দুকড়ি বালা’র শাস্তি কমানোর জন্য জেলের মধ্যে বসে অনটনশন করে দুকড়ি বালা দেবীকে দিয়ে রান্না করা খাবার খান | এই ননীবালা দেবী জেল থেকে ছাড়া রেয়ে সকলের কাছে অবাঞ্ছিত হলেন | বালি ছেড়ে কলকাতা আসতে বাধ্য হলেন | শেষ জীবনে রান্নার কাজ করে ছোট্টো ঘর ভাড়া নিয়ে নিঃসঙ্গ জীবন কাটালেন | শেষজীবনে টিভি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন | তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে ১৯৬৭ এর মে মাসে শেষ ৫০ টাকা পেনশান পেয়েছিলেন | তবুও কারও প্রতি ক্ষোভ ছিলনা তাঁর অদ্ভুত এক প্রশান্তি নিয়ে ঈশ্বরের কাছে অর্পণ করে নিজেকে |
কটকের কলিজয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেণীমাধব দাসের দুই মেয়ে কল্যাণী দাস ও বীণা দাস | স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন | মা সরলা দাসের মত সংগঠনী শক্তি ছিল কল্যাণীর | বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এ পড়া কালীন “ছাত্রী সংঘ” সংগঠন করেন | রাজনৈতিক দিক থেকে এই সংঘের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম | এই সংঘের সম্পাদক ছিলেন কল্যাণী দাস | প্রতিলতা ওয়াদ্দেদার , কল্পনা দত্ত, বীণা দাস, সুহাসিনী গাঙ্গুলি, ইলা সেন, সুলতা কর, কমলা দাশগুপ্তের মত আন্দোলনকারীরা যোগ দেন | এখানে মেয়েদের স্বাধীনতা সংগ্রামী তৈরী করা হত |
১৯৮৫ সাল থেকে যে সব মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন তাঁরা ছিলেন — কমলা দাশগুপ্ত,কমলা মুখোপাধ্যায়,ইন্দুসুধা ঘোষ,শান্তিসুধা ঘোষ,উজ্জ্বলা রক্ষিত রায়,হেলেনা দত্ত,কল্পনা যোশী,ইলা মিত্র,শান্তি দাস ও চারুশীলা চৌধুরি, এছাড়াও খ্যাতনামা ছিলেন লীলী রায়,বাসন্তী দেবী,কল্যানী দাস, ননীবালা দেবী’র কথা | নিজ মাতৃভূমির মুক্তির জন্য ভারতীয় সশস্ত্র নারী বিপ্লবী আন্দোলনে বলিপ্রদত্ব সহস্র নারী বিপ্লবী আজও তাঁদের আশ্রুসিক্ত করুণ কাহিনী শিহরে ওঠে বুক অন্তরালে রয়েছে আত্মদানে অনেক নারী বিপ্লবী |