আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:- কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নারকীয় ঘটনার পর আর এক নারকীয় ঘটনা সামনে এলো। উত্তরাখণ্ডের(Uttarakhand) এক নার্সকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।
আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। সেই ঘটনার আঁচ সারা ভারতবর্ষে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর পড়েছে। দেশজুড়ে ক্ষভ আর নিন্দার ঝড় উঠেছে। উত্তরাখণ্ডের উধমপুর জেলায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্স কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে গত ৩০শে জুলাই নিখোঁজ হয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাবার পরেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেন। পরের দিন ৩১শে জুলাই পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ নার্সের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের গ্রামে মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। তদন্ত নেমে পুলিশ দেখে নার্সের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা গয়না মোবাইল নেই। পুলিশ ওই নার্সের মোবাইল ফোনের লোকেশান দেখে জানতে পারে ফোনটি রাজস্থানের যোধপুরে রয়েছে। সেখান থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে উধমপুরে নিয়ে আসা হয়। জানা গেছে মূল অভিযুক্ত ধৃত ব্যক্তি শ্রমিকের কাজে যুক্ত ছিলেন।
পুলিশ দফায় দফায় ওই ব্যক্তিকে জেরা করে। জেরার মুখে ওই ব্যক্তি ভেঙে পড়লেও তিনি খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। জানা গেছে ওই নার্সকে একা যেতে দেখেই সে লুটের ছক কষে ছিল। লুটের জন্যই সে ওই নার্সের পিছু নেয়। তারপর ফাঁকা জায়গায় ওই ব্যক্তি নার্সের উপর হামলা চালিয়ে ৩৩ বছর বয়সী ওই নার্সকে ধর্ষণ করে মুখ বন্ধ রাখতে ধৃত ব্যক্তি তাকে খুন করে। তারপর ওই ব্যক্তি টাকা-পয়সা, মোবাইল গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ যুক্ত আছে কিনা সেই বিষয় পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে। জানা গেছে ওই মৃত মহিলার ১১ বছরের একটি কন্যা রয়েছে।