আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:- আন্তর্জাতিক এবং আন্তর্দেশীয় বিমান সংস্থাগুলিতে গত রবিবার থেকে লাগাতার বার্তা আসতে থাকায় ভিত্তিতে অবতরণ করিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে অথবা কোন বিমানকে বাতিল করতে হয়েছে এইরকম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বিমান সংস্থাগুলিকে। শনিবার ও প্রায় এক ডজন ইন্ডিগো বিমানে বোমা রাখা হয়েছে বলে হুমকির ফোন এসেছে। গত এক সপ্তাহে ৭০টি হুমকির খবর এসেছে। এইরকম লাগাতার হুমকির খবর আসায় যাত্রীদের মধ্যেও উদবেগ বেড়েছে। এই ঘটনায় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকও উদ্বিগ্ন হয়ে আছে। এতগুলো হুমকির খবর আসার পরেও এখনো পর্যন্ত কোন বিমানেই সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। এইভাবে বিমান সংস্থাগুলির কাছে বারবার ভুয়ো বার্তা আশায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে যেমন সাধারণ যাত্রীদের ঠিক তেমনি সংস্থাগুলিরও লোকসান হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র।
শনিবার সব মিলিয়ে ৩০ টি বিমানে বোমা রাখার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপরই বিমান সংস্থার সিইওদের তলপ করে ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি।

অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের দপ্তর শনিবার এক বৈঠক করে। এই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে “প্রত্যেকটি বিমান সংস্থাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢিলে সাজাতে হবে কোন ধরনের হুমকির ব্যাপারে সরকার সহ সব অংশীদারদের জানাতে হবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে”।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে মুম্বাই পুলিশ ছত্তিশগড়ের এক কিশোরকে হেফাজতে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও তদন্তে নেমেছে। যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে কারণ অপরাধীরা ভিপিএন ব্যবহার করছে। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি), ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম যে এক্স হ্যান্ডেল গুলি থেকে হুমকির বার্তা পাঠানো হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করার কাজ যৌথভাবে এই দুই সংস্থা করছে।
এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সরকার বোমাতঙ্ক ছড়ানোর শাস্তি হিসেবে নিয়ম আনতে চলেছে। অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবার আইন সংশোধনের পথেই হাঁটছে। বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ালে আজীবন বিমান যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।