আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:-মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ফের বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই বিরাট সাফল্যে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিপুল ভোটে জেতার পর সাউথ ব্লকের মুচকি হাসি দেখা গেছে। কারণ খোলিস্তানি ইস্যুতে কানাডার তোপ থেকে প্রতিবেশী চীনের রক্তচক্ষু সমস্ত ক্ষেত্রেই ভারতের দিকে খানিকটা ঝুঁকে থাকবেন রিপাবলিকান নেতা। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কমলা হ্যারিসের ভারত যোগ যতই গভীর হোক মোদি সরকারের কাছে ট্রাম্পই যে প্রথম পছন্দ তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
ট্রাম্পের কট্টর চীন বিরোধী অবস্থানও ভারতের পক্ষে সুবিধা জনক। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে যে বেজিংয়ের অস্বস্তি বাড়বে তাও নিশ্চিত। পাশাপাশি রিপাবলিকান নেতা ক্ষমতায় এলে যে অগ্রাধিকারের তালিকায় পাকিস্তানের থেকেই ভারতই বেশি গুরুত্ব পাবে সেটা ধরেই নেওয়া যায়।
আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে সবচেয়ে অস্বস্তিতে ফেলেছে খলিস্তান বিতর্ক। কানাডার মাটিতে খলিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে নয়া দিল্লির হাত রয়েছে বলে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তো দেখেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পেশ করতে না পারলেও বিষোদগার করে গেছেন তিনি। ট্রুডোর সুরে সুর মিলিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসনও। খলিস্তান ইস্যুতে ভারতের সমর্থনে আমেরিকা সরব হয়নি। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে কানাডাকে পাল্টা দিতে পারেন বলেই দিল্লি আশাবাদী। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যেও ওয়াশিংটন বাধ সাধবেনা বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
ট্রাম্প স্বয়ং দিল্লির আশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে দীপাবলি উপলক্ষে এক বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মোদির সঙ্গে সম্পর্কে আরো উন্নতি ঘটাবেন। এই বার্তায় ভরসা রাখতে চাইছে নতুন দিল্লি। ট্রাম্প সরকারে আসলে ভারত মার্কিন বাণিজ্য বাড়তে পারে। চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধেও লাভবান হবে ভারতের বণিক মহল। অস্ত্র বিক্রি বা প্রযুক্তি হস্তান্তর সমস্ত ক্ষেত্রেই আরো গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।