আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:- গত ১৩ জুলাই, শনিবার নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে হামলার শিকার হন ট্রাম্প। দলীয় কর্মীর ছোঁড়া গুলি কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় বর্ষীয়ান নেতার। সাক্ষাৎ মৃত্য মুখ থেকে ফিরেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতী হামলায় হাত রয়েছে ইরানের।ঘটনায় গাফিলতির দায় নিয়েছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস। সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, এই ট্রাম্পকে নাকি খুনের ছক কষছে ইরান। এনিয়ে যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছে তাদের হাতে।ট্রাম্পকে খুনের ‘মোটিভ’ এখনও পরিষ্কার নয়, তদন্ত চলছে।ট্রাম্পের সঙ্গে যে ইরানের সম্পর্ক মোটেই ভালো নয় তা কারও অজানা নয়। দেশের শীর্ষ সেনাকর্তা কাশেম সোলেমানির হত্যার মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরান। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তেহরান জানে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে ফের ইরানে হামলা চালাবেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসনের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল যে, ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে ইরান। এমনকী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নানা হিংসামূলক ঘটানতেও তেহরানের হাত ছিল বলেও নাকি সতর্ক করা হয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের। এমনকি পেনসিলভ্যানিয়া সভার আগে সিক্রেট সার্ভিসকে ইরানের হুমকির বিষয়ে অবগত করা হয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ট্রাম্পের নিরাপত্তাও বাডি়য়ে দেওয়া হয়।তবে ট্রাম্পের উপর হামলায় ইরানের হাত রয়েছে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় মার্কিন প্রশাসন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জে ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের চোখে ট্রাম্প এক জন অপরাধী। তাঁর নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই অপরাধের জন্য তিনি শাস্তি পাবেন ঠিকই। কিন্তু সেটা আইনের পথে। বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রাম্পকে শাস্তি দিতেই বদ্ধপরিকর ইরান।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানির মৃত্যু হয়।অভিযোগ, এই হামলার জন্য দায়ী তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও অন্য মার্কিন আধিকারিকরা।