আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী :- নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে(Bangladesh) বিক্ষোভ অব্যাহত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এখনো বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন প্রায় চার হাজার ভারতীয় ছাত্র – ছাত্রী। নেপাল এবং ভুটানের ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধে ভারতে প্রবেশে তাদের সহায়তা করা হচ্ছে। শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ৯৭৮ জন ভারতীয় বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ফিরেছেন। আর প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রী ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে নিয়মিত বিমানে দেশে ফিরছেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এবং সহকারি হাইকমিশনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়। বাংলাদেশে এই ঘটনার পর ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার জন্য ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সিলেটে সহকারী হাইকমিশন গুলি সহায়তা করছে। যারা সড়ক পথে দেশে ফিরতে চায় তাদের জন্য এসকর্টের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের কোচিং পয়েন্টগুলিতে ভারতীয়দের নিরাপদে নিয়ে যাবারও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে ভারতীয় নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরতে পারেন তার জন্য বিএসএফ, বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরের সঙ্গেও সমন্বয় করা হচ্ছে। করা হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স গুলির সঙ্গেও ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।

Bangladesh

এদিকে বাংলাদেশ জুড়ে শুক্রবার রাত থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফ থেকে ঢাকা শহরে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর গুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই বিষয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ” অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে “। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের চাকরিতে সংরক্ষণ নীতি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে পড়ুয়ারা পথে নেমেছেন। এই বিক্ষোভ আন্দোলনে শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০৫ দাঁড়িয়েছে। টেলি যোগাযোগ পরিষেবা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট এবং সব ধরনের জনসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় খুব নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বাংলাদেশে এমন ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্য ভারতের উত্তর প্রদেশ, মেঘালয়, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু বাসিন্দা আটকে আছেন। জানা গেছে এই আটকে থাকা পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই ত্রিপুরার আগরতলার আখাউরা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর এবং মেঘালয়ের ডাউকিতে আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরছেন। জানা গেছে শুক্রবার কোচবিহারের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ গেট দিয়ে বাংলাদেশের রংপুর মেডিকেল কলেজের ৩৩ জন ছাত্রছাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে ৬জন ভারতীয়, নেপালের ৯জন এবং ভুটানের ১৮ জন পড়ুয়া রয়েছেন। দেশে ফেরা পড়ুয়ারা জানিয়েছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে ফিরবেন না।