আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী, কলকাতা:- তৃণমূল কংগ্রেসের জয় মাদারিহাট সহ রাজ্যের সবকটা উপনির্বাচনে। এর আগে মনোজ টিগ্গা জিতেছিলেন এখন আর বিজেপির কাছে নেই। নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। ক্লাস ওয়ানে মুখ থুবড়ে পড়ছে। সে বলছে হাই সেকেন্ডারি পাস করব। শুনলেও হাসি পায় বিজেপি ভোট চায়। শনিবার ছটি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর এভাবেই গেরুয়া শিবির কে উপহাস করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমতিনি বলেন, আন্দোলন না করে পেছনে দাঁড়িয়ে থেকে সিপিএম বিজেপি ভেবেছিল নেপোয় মারে দই। কিন্তু মানুষ জানে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল আছে থাকবে।পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর জন্য একবার সিপিএম বিজেপিকে ভোট ট্রান্সফার করেছিল এখন পায়ের তলার মাটি হারিয়ে গেছে। মানুষ বুঝে গেছে।তৃণমূল কংগ্রেসে মানুষের ভোট, গণতন্ত্রের ভোট, মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভোট মানুষের আস্থার ভোট আমরা পেয়েছি। সিপিএম টিভিতে আছে আলোচনায় আছে। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মনে আছে।আরজি করের কোন প্রভাব পড়বে না। আমরাও চাইছি দোষীর শাস্তি। মুখ্যমন্ত্রীর তিনবার করে চিকিৎসকদের সঙ্গে বসেছেন। আমরা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নই। এটা সিপিএম লাগিয়ে দিচ্ছিল ।নেপোয় মারে দই ভেবে।ভিন রাজ্যের নির্বাচন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, মহারাষ্ট্রে কোটি কোটি টাকার ব্যাপার। দিল্লি থেকে একজন নেতা নিয়ে গেল তারপর তার নামে কোন কিছু হল না। তখন ইডি ঘুমিয়ে পড়েছিল। অত ক্যাশ টাকা পাওয়ার পরেও ইডির কোন ভূমিকা নেই।

Firhad Hakim

ঝাড়খন্ডে সোরেন সাহেবকে ধন্যবাদ বিজেপিকে হারানোর জন্য। নির্বাচনের আগে গ্রেফতারে প্রভাব? এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন,আমাকেও গ্রেফতার করেছিল ২১ সালে। কত অত্যাচার করেছিল। কিছু হয়েছে? বাড়িতে অযথা সিবিআই রেড হয়েছিল। ভেবেছিল বোম্বের নেতাদের মত ভয় পেয়ে যাব। ভয় পাই নি। ঝাড়খন্ডে ও তাই হয়েছে নেতারা ভয় পায়নি গ্রেফতার করার পরে ও।বিদ্যাসাগর হাসপাতাল প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, অন্যায় করেছে আইন আইনের রাস্তায় চলবে। যারা আইন হাতে তুলে নিয়েছে ; তারা অন্যায় করেছে। হাসপাতালে মারধর হবে, এটা হতে পারে না। কমিশন আছে।সেখানে অভিযোগ জানাতে পারে। সেখানে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হয়। এরপরেও আদালত আছে। কিন্তু কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবে। কিছু মানুষের উগ্রতা।আজকে চব্বিশে ৬,ছাব্বিশে ২৬০ পাবে তৃণমূল দাবি করেন ফিরহাদ।উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে বালি তোলার অভিযোগ। পুলিশ এই কাজ করবে। নিশ্চয়ই যারা বেআইনি কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশান নেওয়া হবে।ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মেয়রের মন্তব্য,ডেঙ্গু এবছর এখন পর্যন্ত ৯৯৯ জন আক্রান্ত। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৫৬৩ জন। ৯২ শতাংশ কম গত বছরের তুলনায়।মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় নাম উন্নয়ন।মানুষ জানে তৃণমূল কংগ্রেস আছে আর থাকবে।৭৯শতাংশ ভোট পেয়েছিলাম আলিপুরে আমি ।ভোটের পার্সেন্টেজ আমাদের বেড়েই যাচ্ছে। ক্রমশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ তাতে আস্থা জানিয়ে পুরো সমর্থন করে।ধর্ম নিরপেক্ষ রেখে ভোট আমরা করি। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা ভোট করি না বিজেপির মত।আমরা ভয় পাই না এতবার জেলে গেলাম মানুষের সেবায় আমরা সব সময় থাকবো আর আছি।