আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী, হুগলি:- চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশের তদন্তের কাজে বাজেয়াপ্ত সামগ্রী থাকে থানায় বা কোর্টের মালখানাতে। বিচারপ্রক্রিয়ায় আদালতে যা বিভিন্ন সময়ে পেশ করতে হয়। স্থানাভাবের জন্য মালখানাতে ঠাসাঠাসি করে রাখতে হয় বাজেয়াপ্ত সামগ্রী। সারা দেশের থানাগুলিতেই এই সমস্যা আছে কমবেশি। কোনও মামলায় যদি কোনও গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়, তা অনেক সময় থানা প্রাঙ্গনেই রাখতে হয় বাধ্য হয়ে। কোনও কোনও মামলা চলে অনেক বছর ধরে। তখন সেই মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীকে দীর্ঘদিন ধরে একইরকম ভাবে সুরক্ষিত রাখা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, মূলত স্থানাভাবের কারণে। হাজারটা বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর মধ্যে দশ বছর আগে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের চিহ্নিতকরণও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কখনও কখনও।এই সমস্যারই অভিনব প্রযুক্তিগত সমাধানে সচেষ্ট হয়েছিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট, কমিশনার অমিত জাভালগির নেতৃত্বে।

চন্দননগর

মালখানাকে বারকোডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ‘ডিজিটাইজ’ করা হয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সব থানায়, যাতে প্রতিটি সামগ্রীকে চিহ্নিত করা যায় সহজে।তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়ার আধুনিকীকরণের এই উদ্যোগ সম্প্রতি স্বীকৃতি পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। E-governance-এর ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক পেয়েছেন কমিশনার অমিত জাভালগি এবং তাঁর টিম। মিলেছে দেশের সেরার শিরোপা।