আপডেট প্রতিদিন, পশ্চিম মেদিনীপুর, বেবি চক্রবর্ত্তী :- শিক্ষা ব্যবস্থার এক শোচনীয় প্রতিচ্ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা এলাকায়।ডেবরার স্কুলে তালা,রাঁধুনীদের বেতন বন্ধ!
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের নিজপপন গ্রামের পরমহংস জুনিয়র হাই স্কুল ৬ মাস ধরে বন্ধ। শিক্ষকের অভাবে স্কুলটিতে তালা ঝুলছে।ডেবরা ব্লকের অধীন রাধামোহনপুর অঞ্চলের নিজপপন গ্রামে পরমহংস জুনিয়র হাই স্কুল। এই সরকারি শিক্ষা কেন্দ্র দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ। একটি মাত্র শিক্ষক ছিলেন।পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে পঠনপাঠন চলতো। এরপর একমাত্র শিক্ষকের অবসর গ্রহণের পর, ধীরে ধীরে কমতে থাকে পড়ুয়ার সংখ্যা। শিক্ষকের অভাবে শেষ পর্যন্ত স্কুলটিতে এখন তালা ঝুলছে। মিড ডে মিলের এক রাঁধুনী স্বর্ণা দাস জানান, আমরা এই স্কুলে প্রথম থেকেই মিড ডে মিলের রান্নার কাজ করছি, কিন্তু দীর্ঘদিন আমাদের টাকা বন্ধ রয়েছে। বারংবার এই বিষয়ে শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রশাসককে জানালেও কোন সূরাহা হয় নি। প্রায় পাঁচ মাস ধরে আমাদের বেতন বন্ধ। স্কুলটিতে প্রায় ৩৫ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। তাদের রান্নার জন্য এলাকায় মুদির দোকানেও টাকা ধার।সে টাকা দেওয়ার জন্য দোকানি আমাদের চাপ দিচ্ছেন।
স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা একমাত্র শিক্ষক কে কে গোটা বিষয় জানিয়েছিলাম, তিনি ২মাস আগে অবসর নিয়েছেন,তাই তিনিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এদিকে প্রায় ৬ মাস যাবৎ স্কুল বন্ধ! আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিকে জানিয়েছি।আর আমরা কাকে জানাবো?আমাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হোক।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অনিন্দ্য দাস জানিয়েছেন, এই স্কুলটিতে একটি মাত্র শিক্ষক ছিলেন। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন চলতো। সেই শিক্ষক অবসর গ্রহণের পর সকল ছাত্র ছাত্রীরা পাশের একটি স্কুলে গিয়ে ভর্তি হয়। তারপর থেকেই স্কুলটি বন্ধ।আমরা বারংবার দলীয় নেতৃত্ব সহ প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। স্কুল টি যাতে পুনরায় চালু করা যায়। তবে কোনও রুপ পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত লক্ষ করা যায় নি।পরিকাঠামো অভাবের কারণে স্কুলটিতে আজ তালা বন্ধ।অবিলম্বে স্কুলটি চালু করা যায় তার ব্যাবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,শিক্ষকের অভাবে এলাকার পড়ুয়ারা শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্য দিকে রাঁধুনীরা বেতন না পাওয়ায় তারা আর্থিক সংকটে পড়েছেন।এই ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটির প্রমাণ। একটি সরকারি স্কুল এভাবে বন্ধ থাকা অত্যন্ত লজ্জাজনক,যদিও এ প্রসঙ্গে ডেবরার বিডিও আধিকারিক প্রিয়ব্রত রাড়ি জানিয়েছেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে স্কুলটি যাতে দ্রুত চালু করা যায় তার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।