আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী, রবিবার:- এবার কলকাতার রাজপথে রামকৃষ্ণ মিশনের ভক্তবৃন্দ।গত ৯ আগষ্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে এদিন পথে নামলেন রামকৃষ্ণ মিশনের ভক্তবৃন্দ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তণীরা। আর জি কর হাসপাতালে তিলোত্তমা ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে পথে হাঁটলেন রামকৃষ্ণ মিশনের ভক্তবৃন্দ এবং প্রক্তণীরা। এদিন গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে থেকে কলকাতার নন্দন পর্যন্ত পায়ে হেঁটে চলেছিল এই মিছিল।ঢাকুরিয়া গোলপার্ক থেকে দুপুর ১:৩০ শুরু হয়েছিল এই মিছিল। ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে সামিল ছিল বয়স্ক থেকে পড়ুয়া – সুশীল সমাজ- আইনজীবী- সাংবাদিক। এমনকি অসুস্থ হুইলচেয়ার নিয়েও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে ছিলেন রাজপথে। স্বামী বিবেকানন্দের গান আদর্শ এবং ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস এবং শ্রী শ্রী মা সারদার গান এবং বাণী ছিল প্রতিবাদী ভক্তদের হাতে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে দিনের পর দিন চলছে গণআন্দোলন। যেভাবে আর.জি.কর হাসপাতালের একটি ভয়াবহ রূপ গোটা রাজ্য থেকে দেশ নারীদের সুরক্ষার দাবিতে নিয়ে উত্তাল হচ্ছে নানা জেলার নানা রাজপথ থেকে শুরু করে পাড়ার অলিগলি। পাশাপাশি এদিন নন্দন চত্বরে চলেছিল, প্রতিবাদ মেয়েদের তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথ নাটক সমারোহ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পরণে কালো জামা এবং লাল আলতায় মাতোয়ারা।
শহর কলকাতার বুকে কোনো রাস্তায় মোড় নয়- পাড়ার গলি নয়! খোদ আর জি কর হাসপাতালের মধ্যে ঘটনার কর্মস্থলে। এখন প্রশ্ন উঠছে কর্মস্থলে কর্মজীবী মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও? শহরের বুকে সরকারি হাসপাতালে শুধু কি চেস্ট ডিপার্টমেন্ট ছিল! আর ও দশটা ডিপার্টমেন্টের লোকজন তখন কোথায় ছিল? এত বড় একটা সরকারী হাসপাতালে কেউ এই ঘটনার শুনতে পেল না …? দেখতে পেল না..? ওই চেস্ট ডিপার্টমেন্ট ৭ – ৮ তারিখে কারা ছিল সিনিয়ার – জুনিয়র ডাক্তার? কেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? তাঁরা বা কেন চুপ ? যেখানে সাধারণ জনতা পায়ে হেঁটে মিছিলে সামিল ঘন্টার পর ঘন্টা- সেখানে আর জি কর চেস্ট ডিপার্টমেন্ট চুপ কেন?….. এটা এমনটা নয় তো ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খায় নি ?….দুর্ঘটনার সময় তিলোত্তমার সহপাঠীরা চারজন বন্ধু কোথায় ছিল? তাঁরা চুপ কেন ? বিচার চায় যেখানে সাধারণ জনগণ সেখানে আর জি কর চেস্ট ডিপার্টমেন্টর ডাক্তারা চুপ কেন?… অন্য হাসপাতালের সিনিয়র জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রতিবাদ আমরা দেখেছি কিন্তু আর জি কর হাসপাতালে চেস্ট ডিপার্টমেন্ট কেন চুপ? প্রশ্ন থাকছে আরও ধোঁয়াশা সেমিনার রুমে দরজা নেই দরজা খোলা সেমিনার রুমে তিলোত্তমার ধর্ষণ এবং খুন তাও আধা ঘন্টার মধ্যে সত্যি কি সম্ভব ছিল ? নাকি ঘটনায় নেপথ্যে রয়েছে অনেক ধোঁয়াশা? আওয়াজ নাকি শোনা যায় না! সেই রাতের সেমিনার রুম কি অন্ধকার ছিল? কেন প্রমাণ লোপাটে ব্যাস্ত ছিল তিলোত্তমার বডি তড়িঘড়ি সৎকার? সেমিনার রুমের পাশের রুম অর্থাৎ ডাক্তার রুম কেন ভেঙে ফেললো? ত্রিশ দিনের সময় লাগে যেখানে টেন্ডার পেতে সেখানে ঘটনার পরদিনই পাশের রুম ভেঙে ফেলা হল কেন?আর জি কর হাসপাতালের সুপার সন্দীপ ঘোষের বদলি পরদিন স্বাস্থ্য দফতরের পদ আবার বহিস্কার নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন! কলকাতা শহর আর জি কর হাসপাতালে মধ্যে স্বয়ং কর্মস্থলে এই ঘটনায় ভাবিয়ে তুলছে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ফেরা অন্য তিলোত্তমাদের। তাই সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায় প্রশ্ন উঠছে বারবার। ন্যায় বিচারের দাবিতে নিন্দার ঝড়ে গণতন্ত্রের আওয়াজে অঙ্গীকার দিকে দিকে ঘরের মেয়েরাও প্রতিবাদে রাস্তায় আজ।