Mamata Banerjee

আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:- রাজ্য থেকে রাজনীতি যখন তোলপাড় আর জি কর ঘটনায় সেই ঘটনাকে প্রথমে ছোট্ট ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আর জি করে একজন তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন আর সেই আর জি কর হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের পোস্ট মটের্ম রিপোর্ট করা হয়। আর তাঁর দেহ তড়িঘড়ি সৎকার করা হয়। টেন্ডারের জন্য ৩০ দিনের নোটিশের অপেক্ষা না করেই রাতারাতি পর দিনই ঘর ভেঙে দিল আর জি কর এর ঘটনাস্থলে পাশের রুম যাতে সঠিক তদন্তে ধামা চাপা দেওয়া হয় তথ্য। একদিকে রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা সিবিআই তদন্তের ওপর খোদ আস্থা রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে স্টুডেন্টের ওপর লাঠিচার্জ। ঠিক যেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিকৃত ব্রিটিশ পুলিশ যে ভাবে বিপ্লবীদের ওপর লাঠি পেটা করত তা যেন আরও স্পষ্ট করল নিরিহ প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ গণতন্ত্রের যে স্বতন্ত্রের অধিকার তা মুছে ফেললো এই চিত্র। এই শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি ‘We want Justice’.. ‘আমারা বিচার চাই ‘শেষ পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ ছেড়ে জুনিয়র ডাক্তার এবং নার্সদের নিরাপত্তা দিতে হল সি আর পি এফ প্রহরা আর জি কর হাসপাতালে এযেন রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা দেখলো বঙ্গবাসী। আবার কোথাও দেখা গেছে মেয়েদের রাত দখলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শিক্ষার্থীদের।

Mamata Banerjee

অরাজনৈতিক প্রতিবাদ একদিকে আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে ন্যায় বিচারের দাবিতে ‘বিচার চাই আমরা’ এ যেন গণলজ্জা। যে রাজ্যর মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের ঘটনা বা ধর্ষণ করে খুন। তীব্র ধিক্কার দেখা গিয়েছিল অরাজনৈতিক ভাবে সাধারণ মানুষের। কেউ ধর্ষিতা হলে তাঁকে টাকা দেওয়া। টাকার দরে কি নারীর সম্মান ? বিচার চায় জনতা। অভয়ার পরিবারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর টাকা ফিরিয়ে দেওয়া যেন সজোরে এক থাপ্পর মারল এই রাজ্যের প্রশাসনের মুখে। অভয়ার বাবা – মায়ের দাবি ‘দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই ‘। কিন্তু এই প্রশাসন – সরকার তাতে ও ব্যার্থতা স্বীকার করল। অবশেষে সিবিআই এই কে নামতে হল সঠিক বিচারের ময়দানে। সাধারণ মানুষ তীর্থের কাকের মত সেদিকেই তাকিয়ে সঠিক বিচার। এ তো রাস্তায় নয় খোদ আর জি কর হাসপাতালে ভিতরে এমন নিন্দনীয় – নজীরবিহীন ঘটনা দেখলো রাজ্যবাসী। এবার গণতন্ত্র গণমাধ্যম কে ও আক্রান্ত হতে হবে দোষ একটাই সঠিক খবর দেওয়া জন্য। ভুল কে ভুল বলে আঙুল দিয়ে দেখানো যাবে না। কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আসছে একাধিক প্রশ্ন নারী নিরাপত্তা নিয়ে। আজকে নারীরা সত্যি কি প্রকৃত স্বাধীন? আশঙ্কায় আছেন রোগীর পরিবারেরাও। মহিলা পেসেন্ট চিকিৎসা করাতে গেলেও দুশ্চিন্তায় থাকবেন তাঁর পরিবার ঘরে না ফেরা পর্যন্ত। চিন্তা থাকবেন কাজ শেষে রাতে ট্রেনে – ট্রামে – বাসে বাড়িতে ফেরা কর্মজীবী নারীশক্তি। নারী যেখানে শক্তির আধার। এই চব্বিশ দশকে এসে নারী নিরাপত্তা যেন প্রশ্নের মুখে। এখন সেই মেয়েদের রাত দখল, নিভয়ে একা মেয়ে বাড়ি ফিরে আসবে তো সেই ভয়াবহ দুশ্চিন্তায় ভাবছে আর সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন জনগণ। আদও এই ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের শাস্তি পাবে। সেই অপেক্ষায় রইলো সাধারণ মানুষ। এ ন্যায়ের দাবিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। মানবিকতার গণ শিরদাঁড়া যেন বিক্রি নেই।