আপডেট প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ শিক্ষাঙ্গনে ঝড়ল রক্ত।স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক -সহ সদস্যদের লোহার রড এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক সহ দুই অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও সমস্তটাই চক্রান্ত বলে পাল্টা দাবি প্রধান শিক্ষকের। ঘটনা হরিশ্চন্দ্রপুরের টাল বাঙ্গরুয়া হাইমাদ্রাসার। জানা গিয়েছে, ওই হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, রূপশ্রী সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল।
এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত চলছে। এরইমধ্যে সম্প্রতি ওই মাদ্রাসার মিড ডে মিল নিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিল প্রকল্পের চাল চুরির অভিযোগ ওঠে। এদিন এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মাদ্রাসায় যান নব-নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক এবং কয়েকজন সদস্য।তাঁরা প্রধান শিক্ষককে এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দু’পক্ষের গোলমাল বেঁধে যায়। সেইসময় প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলম, আর দুই অশিক্ষক কর্মী স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক আব্দুল মাতিন ও আরও দুই পরিচালন সমিতির সদস্যের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ। এমনকি স্কুল সম্পাদককে ধারাল অস্ত্র দিয়েও আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপরই গন্ডগোলের আওয়াজে স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকরা ছুটে আসেন। তারপরই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের গন্ডগোল বেঁধে যায়। আহত ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক এবং অন্যান্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এবং ভালুকা ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী।প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলম এবং গোলাম রব্বানী নামের অশিক্ষক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, এদিন উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে গোলমাল পাকানো হয়। যেসব অভিযোগ উঠেছিল তা তদন্তের ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।