আপডেট প্রতিদিন, হুগলি, বেবি চক্রবর্ত্তী:- হকার উচ্ছেদ নিয়ে ভিন্ন সুর বিধায়ক ও পুরসভার। নোটিস পাওয়ার পর চুঁচুড়ায়(Chuchura) দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন হকাররা। তবে বিধায়ক বলছেন পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার সক্রিয় হয় পুরসভাগুলো। হুগলি জেলার একাধিক পুরসভায় দখলমুক্ত করার অভিযান চলেছে। তবে জেলার সদর শহর চুঁচুড়া পুরসভার প্রশাসনিক বৈঠকের পর জানানো হয় ৩০ জুলাই উচ্ছেদ অভিযান চলবে। শহরের হকারদের সেই মর্মে নোটিসও দেয় পুরসভা। এরপর কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে সদর মহকুমাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।এরপর বুধবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়া হসপিটাল সংলগ্ন নেতাজি সুভাষ রোডের হকারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি। বিধায়ক বলেন,মুখ্যমন্ত্রী বলেননি হকার উচ্ছেদ করতে। সেই সার্ভে পুরো হল না, প্ল্যানিং হল না, উচ্ছেদ কেন হবে? এটা তো দিদি বলেননি। যে বা যারা এটা করছে তারা মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। সরকারি পলিসি আছে, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না। আমরা রেলে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি।
আর আমরাই বলব যে উচ্ছেদ করব! এটা হয়? উচ্ছেদ হবে না।বিধায়কের বক্তব্য, রাস্তায় বেরিয়ে সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক। তিনি তুলতে বললে সবার আগে আমি তুলব। হকাররা কি মানুষের বাইরে?এত লোক যাবে কোথায়? চাকরি নেই বাকরি নেই।পুরসভার নোটিস পাওয়ার পরই বুধবার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের সামনের ফুটপাতের হকাররা তাদের দোকান ভাঙার কাজ শুরু করেন। ৫০-৬০ বছর ধরে হকাররা এখানে ব্যবসা করছেন। মূলত হাসপাতালের রোগীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করেন তাঁরা। দু একটি চায়ের দোকানও আছে। পুরসভা ভেঙে দেওয়ার আগেই সেই সব দোকান তাঁরা সরিয়ে নিচ্ছেন। হকাররা জানান,ফুটপাথে তিন ফুট পিছিয়ে গুমটি দোকান করবেন তাঁরা। এখন দেখার এবিষয়ে প্রশাসনিক তৎপরতার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।