আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:-মঙ্গলবার সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন যে ক্রমশ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে বাজারের ব্যাগ নিয়ে গৃহস্থরা সবজি কিনতে গেলে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। কারণ ব্যাপক দাম বেড়েছে সবজির। এবার এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ১০ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমাতে হবে। আর দাম কতটা কমল সেটা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাঁর কাছে।
এদিন নবান্নে বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই উঠে আসে বাজারে সবজির আগুন দর। লঙ্কা, বেগুন সবই ডবল সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছে। ঢ্যাঁরশ, উচ্ছের মতো সবজিও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১১০ টাকায়। আর ফসলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের একাংশ অনাবৃষ্টিকে দায়ী করছেন। তবে আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘কিছু মুনাফাখোরের জন্যই এই মূল্যবৃদ্ধি। মুনাফা করার একটা লিমিট আছে। সবজির গাড়ির পুলিশ আটকায় না। বাজারে সিআইডি, পুলিশ, আইবি নজরদারি করুন। তার জন্য টাকা নেবেন না। আমি যদি কারও কাছে শুনতে পাই তোলাবাজি নেওয়া হয়েছে তাহলে অ্যাকশন নেব। এখন বাজারে কোনও সবজিতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না। আলু–পেঁয়াজেরও দাম এখন লাগামছাড়া। এই অভিযোগ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। আর তাই এই বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আলু বাইরে যাচ্ছে না তো? বর্ডার চেকিং হবে। আমার পিঁয়াজ বাংলাদেশে যাচ্ছে। আগে আমাদের প্রয়োজন মিটুক। তারপর বাইরে যাক।
কৃষকেরা কিন্তু বাড়তি দাম পাচ্ছেন না। সবজির দাম বাড়িয়ে মুনাফা নিচ্ছেন মুনাফাখোররা। এই জিনিস কেন চলবে? আলুর দাম গত বছর এরকম সময় ছিল ২২ টাকা। কিন্তু এবারে সেটা ৩৫ টাকা। আমি ১০ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমেছে দেখতে চাই। তিন মাস ধরে ভোট হয়েছে। নির্বাচনী বন্ডের টাকা তুলতেই সবজির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে।’ তাছাড়া মঙ্গলবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, চলতি বছরেই ডিম উৎপাদনে বাংলা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘আকাশছোঁয়া সবজির দাম। মানুষ বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছেন। টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলাম। তারা শেষ কবে বৈঠকে বসেছে জানি না। যত দিন দাম না কমে, তত দিন বৈঠকে বসতে হবে। আমি মুখ্যসচিব, ডিজিকে নির্দেশ দিচ্ছি। কতটা দাম কমল সেটা প্রতি সপ্তাহে আমার রিপোর্ট চাই।
১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতেই হবে। দাম কেন বাড়ল? পাইকারি মালের জোগান কেন কমল? কিছু জিনিসের দাম আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গোটা দেশে নাগালের বাইরে। এটা রাজ্যের বিষয় নয়। কেন্দ্রের বিষয়। যার জন্য সকলে সাফার করছি। এবার দেখার বিষয় এটি কতটা কার্যকরী হয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।