আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:- আর জি কর(RG Kar) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ। একদিকে মৃত চিকিৎসকের বাবা মা পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মেজাজ হারাতে দেখা যাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে এই ঘটনার তদন্ত ভার তুলে দিয়েছে। দিল্লি থেকে সিবিআই মনোবিদ এবং অফিসার নিয়ে এসে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কে জেরা করা শুরু করেছে। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে।
আগামী মঙ্গলবার কুড়ি আগস্ট প্রধান বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই বিষয়টির শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিস করা দুই আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে আরজিকর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের মৃত চিকিৎসকের ঘটনাকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিবেচনা করার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠিতে বলা হয়েছে “বিচার বিভাগ হল ন্যায় বিচারের চূড়ান্ত অভিভাবক। বর্বরতার জন্য যাদের কান্না স্তব্ধ হয়ে গেছে তাদের শেষ আশ্রয় সুপ্রিম কোর্ট। আমাদের আইনি ব্যবস্থায় তাঁর মৃত্যু বৃথা যাবেনা”। তারা আরো লেখেন আমাদের দেখতে হবে ভবিষ্যতে যাতে অন্য কোন মহিলার এই পরিণতি না হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশমত সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। রবিবার নিয়ে মোট তিন দিন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সন্দীপ ঘোষের মোবাইলের কল এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মোবাইল ফোন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যোগাযোগ করেছে। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রায় ৪০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ২০ জনকে জিজ্ঞাসা বাদ করেছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসক এবং নাগরিক সমাজ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছে। চিকিৎসকদের ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য তথা দেশজুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।