আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:- ২১শে-র তৃনমুলের জনসভায় যোগ দেওয়ার লক্ষ্যেই কলকাতায় গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি বাড়ি আর ফেরা হল না।রবিবার দুপুর নাগাদ বকখালি থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার হল৷ গোটা ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলছেন পরিজনরা।অন্যদিকে,মৃত বাবার নিথর দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনতে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন মৃত তৃনমুল কর্মী রঞ্জিত মন্ডলের ছোট ছেলে শুভম মন্ডল। এদিকে,স্বামীর মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন স্ত্রী।শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত রঞ্জিত মন্ডল পেশায় মেকানিক। তিনি শিলিগুড়ি(Siliguri) পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা।সেখানে প্রথম পক্ষের স্ত্রী সন্তান থাকেন।
অন্যদিকে,শহীদ কলোনীতেও তার দ্বিতীয় সংসার রয়েছে বলেই খবর।পরিবার সূত্রে খবর,মৃত ওই তৃণমূল কর্মী বছর পাঁচেক আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।২০২৩ সালে প্রথমবার ধর্মতলায় আয়োজিত শহিদ দিবসের বিশেষ সভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।এবারও সেই লক্ষ্যেই ১৯ তারিখ কলকাতা পৌঁছোন।তার সঙ্গে জনা দশেক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন।রবিবার তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন যাতে দেখা যায় মাঝ সুমুদ্রে একটি বোটে তাকে ভাসতে।পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে,বকখালিতে সমুদ্রে তলিয়ে রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে।ঘটনার খবর জানতে পেরেই রবিবার বিকেল নাগাদ মৃতের ছোট ছেলে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন।সোমবার বিকেল নাগাদ রঞ্জিতের নিথর দেহ বাড়ি ফেরার কথা রয়েছে।পরিবারের অভিযোগ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে দির্ঘদিন ধরেই তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন স্থানীয় তৃনমুল কর্মীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল।তাদের অভিযোগ পুরোনো বিবাদের জেরেই খুন হতে পারে মৃত রঞ্জিত মন্ডল।পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।