নিখোঁজ

আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:- ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরকে স্বর্গের পথ দেখিয়েছিল একটি কুকুর! সেখানে ২৫০ কিলোমিটার দূরের মালিকের বাড়ির পথ চিনে ঘরে ফেরা তো সামান্য বিষয়। যে কাজ করে দেখাল কর্নাটকের ‘মহারাজ’। আর ‘প্রিয়জন’ এলাকায় ফেরার আনন্দে চড়ুইভাতি করলেন স্থানীয়রা। ব্যাপারটা ঠিক কী?উত্তর কর্নাটকের একটি গ্রাম বেলাগাভি জেলার যমগর্নি। সেখানেই মালিক কমলেশ কুম্ভরের সঙ্গে থাকে মহারাজ নামে এক সারমেয়। গ্রামবাসীদের কথায়, সে নাকি ভজন শুনতে খুব পছন্দ করে। আর প্রভুভক্তি তো বলে প্রকাশ করা যাবে না। আর কমলেশ হলেন ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত। প্রত্যেক বছর তিনি মহারাষ্ট্রের পন্ধরপুরে তীর্থ করতে যান। সেখানে ভিড় জমান অন্যান্য তীর্থযাত্রীরাও। এবছরও সেখানে গিয়েছিলেন কমলেশ। আর তাঁর পিছু নিয়েছিল মহারাজ। মালিকের সঙ্গে দিব্যি হেঁটে ২৫০ কিলোমিটার দূরের পন্ধরপুরে পৌঁছে গিয়েছিল সে।সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, কমলেশ ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে ভজন শুনতে শুনতে তীর্থক্ষেত্রে যায় মহারাজ।

সারমেও কুকুর

কিন্তু একটি মন্দিরে দর্শন করার পর কমলেশ দেখেন মহারাজ সেখানে নেই। বহু খোঁজাখুঁজির পরও দেখা মেলেনি সারমেয়টির। কোনও উপায় না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন কমলেশ। যেদিন তিনি তার ঠিক পরের দিনই বাড়ির দরজায় হাজির মজারাজ। যা দেখে অবাক হয়ে যান কমলেশ ও গোটা এলাকাবাসী। শুধু তাই নয় দরজায় দাঁড়িয়ে খোশ মেজাজে লেজ নারে সে। যেন কিছুই হয়নি।কিন্তু কীভাবে ২৫০ কিলোমিটার পথ একা চিনে বাড়ি ফিরল মহারাজ? তার উত্তর অবশ্য মেলেনি। কিন্তু প্রিয় মহারাজের ফিরে আসায় খুশির হাওয়া গোটা এলাকায়। শুধু তাই নয়, সারমেয়টিকে গাঁদার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয় গোটা গ্রামে। তার পর আয়োজন করা হয় মহাভোজের। কমলেশের কথায়, “ভজন বরাবরই খুব প্রিয় মহারাজের। এর আগেও এক তীর্থযাত্রায় ও আমার সঙ্গে ছিল। কিন্তু এবার ও যেভাবে ফিরে এসেছে তা অলৌকিক ঘটনা।” আর গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, ঈশ্বরই পথ চিনিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছেন মহারাজকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *