আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্ত্তী:-সাংবাদিকদের জানান, ভিতরে সাপ দেখা যায়নি।চাবি না পেয়ে রবিবার পুরীর মন্দিরে রত্নভান্ডারের ভিতরের কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করে ১১ জন সদস্যের দল। বিচারপতি রথ জানিয়েছেন, জেলাশাসক এবং অন্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভাঙা হয়েছে তালা। প্রচলিত ধারণা রয়েছে, জগন্নাথের সেই রত্নভান্ডার আগলে রেখেছে সাপ। সাংবাদিকেরা সেই নিয়েই প্রশ্ন করেন। জবাবে বিচারপতি রথ জানান, এ রকম কিছুই ছিল না। তাঁর কথায়, ”রত্নভান্ডারে যে দলটি প্রবেশ করেছিল, তাতে সাত থেকে আট জন মন্দির কমিটির সদস্যও ছিলেন। বহুদা যাত্রা শুরু হয়েছে বলে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। সে কারণে আমরা ভাল করে খতিয়ে দেখার এবং সব রত্ন সরানোর সময় পাইনি।
বিগ্রহের অলঙ্কার, রত্ন সরানোর জন্য অন্য একটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ)-এর প্রধান অরবনিন্দা পাঢ়ি জানিয়েছেন, বাইরের রত্নকক্ষের চাবি রাখা ছিল পুরীর রাজা গজপতি মহারাজের কাছে। তিনি বলেন, ”তাঁর থেকে চাবি নিয়েই বাইরের রত্নকক্ষে প্রবেশ করেছি আমরা।” তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে থাকা অলঙ্কার মন্দির চত্বরেই ‘অস্থায়ী স্ট্রং রুম’-এ রাখা হয়েছে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে ভিতরের কক্ষে প্রবেশের জন্য ভাঙা হয় তালা।এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছে ওড়িশার বিজেপি সরকার। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছায় ওড়িয়ারা ওড়িয়া অস্মিতার পরিচয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। এর আগে আপনাদের ইচ্ছায় জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খোলা হয়েছিল। এ বার ৪৬ বছর পর আপনাদের ইচ্ছাতেই রত্নভান্ডারের দরজা খোলা হয়েছে।