আপডেট প্রতিদিন, বেবি চক্রবর্তী :- সংসারে সব বড় বিপদ থেকে দূর করতে হিন্দু মহিলারা বিপত্তারিণী ব্রত পালন করে থাকেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ভক্তি মনেএই পুজো করলে যে কোন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হিন্দু বাঙ্গালীদের কাছে বিপত্তারিণী পুজো বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ। শক্তিরূপিনি দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম একটি রুপ হল সংকটনাশিনী রূপ। এই রূপই হল বিপত্তারিণী। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আসাম ও ওড়িশাতে এই পুজো পালিত হয়।আষাঢ় মাসে রথযাত্রা থেকে উল্টো রথের মধ্যে যে শনিবার এবং মঙ্গলবার পরে অর্থাৎ তৃতীয়া থেকে নবমী তিথির মধ্যে এই দুটি দিনে এই ব্রত পালন করা হয়। হিন্দু শাস্ত্র মতে মানা হয় এই পুজো করলে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি পাপমুক্ত হয়।
এই পুজোর একটি বিশেষ নিয়ম হলো সবকিছুই ১৩ টা করে দেবীকে উৎসর্গ করতে হয়। পুজোর সময় এমন কিছু কাজ আছে যা করলে যেমন জীবনে সাফল্য লেগে থাকে তেমনি এই পুজোর সময় আবার সব কাজ করাও যায় না। এই পুজোয় লাল সুতো ব্যবহার করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই লাল সুতোর মাহাত্ম্য অনেক। তাই ভক্তরা লাল সুতো হাতে বাঁধেন। সুতোটিতে ১৩টি গিঁট দেওয়া হয়। মনে করা হয়, প্রতিটি গিঁটে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ থাকে। তার সঙ্গে ১৩টি দূর্বাও থাকে। এছাড়া এদিন দেবীকে ১৩ রকমের ফল, মিষ্টি এবং ফুল নিবেদন করা হয়।
এতো গেল পালনীয় কর্তব্য গুলো। এছাড়া এমন কিছু কাজ আছে যা পালন করা উচিত নয়। যেমন- পুজোর আগের দিন এবং পুজোর দিন আমিষ খাওয়া যাবেনা। এছাড়াও চালের জিনিস খাওয়া খুবই অশুভ বলে মানা হয়। কাউকে অসম্মান বা অপমান করা উচিত নয়। এই সময় কারোর থেকে ঋণ নেওয়া অথবা কারোর কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়া উচিত নয়। এছাড়াও আরো কিছু কাজ আছে যা এই ব্রত চলাকালীন করলে সংসারে অমঙ্গল হয়। তাই সংসারের অমঙ্গলের ভয়ে প্রত্যেক হিন্দু নারীরা প্রথা মেনে এই ব্রত পালন করে আসছেন।