আপডেট প্রতিদিন, জলপাইগুড়ি, বেবি চক্রবর্ত্তী:- জলপাইগুড়ি শহরের ২৫ নং ওয়ার্ড নেতাজি পাড়া পরেশ মিত্র কলোনি এলাকায়। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত যুবকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ। আর এই নিয়ে এলাকায় চুরি ছিন্তাই সহ বিভিন্ন ধরনের অশান্তি লেগেই থাকছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জলপাইগুড়ি তে এধরণের ঘটনায় পুলিশ ও আবগারি দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।জানা গেছে শনিবার দুপুরে মাদক কিনবার টাকা আদায়ের জন্য তাঁর বাড়ির লোকের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় এক যুবক। খবর যায় স্থানীয় যুব তৃনমূল কর্মীদের কাছে। এরপর তৃণমূল কর্মীরা ওই যুবককে পাকড়াও করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই এলাকার আরও যুবকের নাম পায়।
এরপর পাড়াতেই তল্লাশি চালালে মাদক সেবন করতে দেখতে পায় আরও দুই যুবকে। তাঁদের পাকড়াও করে। পরে কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নেশাগ্রস্তদের আটক করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় ৬ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি আবগারি দপ্তরের অভিযোগ জানানে হয়েছে বলে জানা গেছে।অপরদিকে দুপুরের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার রাতে ফের এক মাদকাসক্ত যুবককে হাতেনাতে ধরে এলাকার বাসিন্দারা। এরপর কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।নেশাগ্রস্ত যুবকের দাদা হারাধন সুত্রধর বলেন আমার ভাই নেশা করে। তাই রাতেই ভাইকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলাম।স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত মোহন্ত বলেন এই যুবক ফলের ব্যাবসা করে।
নিজে মাদক সেবন করে এবং তাঁর দোকানের কর্মচারী সহ আরও অনেকের কাছে মাদক বিক্রি করে। আমরা আগেও কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু এরা ছাড়া পেয়ে যায়। শহরকে নেশা মুক্ত করতে পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে।এলাকার যুব তৃনমূল নেতা দীপঙ্কর ঝাঁ বলেন শহরে ক্রমশই বাড়ছে নেশাখোরদের দৌরাত্ম। অল্প বয়সী একদল যুবক শহরের স্টেশন বাজার সংলগ্ন এলাকায় ব্রাউন সুগার, গাজা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ক্রয় ও বিক্রির রমরমা কারবার বলে অভিযোগ। এরা ২৫ নং ওয়ার্ড নেতাজি পাড়া পরেশ মিত্র কলোনি এলাকায় মাদক সেবন ও মাদক বিক্রি করে। এইসব ঘটনার জন্য জলপাইগুড়ি শহরের আইন শৃঙ্খলার যথেষ্ট অবনতি হচ্ছে। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। এরসাথে সাধারন মানুষকেও সচেতন হতে হবে।আবগারি আধিকারিক সঞ্জীব সুব্বা বলেন মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার অভিযান চলছে। অভিযোগ পেয়েছি ফের অভিযান হবে।