আপডেট প্রতিদিন,বেবি চক্রবর্ত্তী কলকাতা২১শে জানুয়ারি :- স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ দিন বাংলার যে অসম্প্রদায়িক ঐতিহ্য ছিল, তা গত কয়েক বছর ধরেই নষ্ট হয়েছে। ভোট বাক্সের জন্য কেউ সংখ্যালঘু তোষণ করছে তো কেউ সংখ্যাগুরুকে ভোট বাক্সে আনতে চাইছে। কোনো রাখঢাক না করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বললেন, “ছেলেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়র যা বানানোর বানান। কিন্তু আগে ভাল হিন্দু বানান। যে নিজে ধর্মের প্রতি সমর্পিত হবে। আর বাড়িতে একটা করে ধারাল অস্ত্র রাখুন। নিজের ধর্ম সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারলে ডাক্তার ব্যারিস্টার যাই হোক ফুটে যাবে।” স্বাভাবিক কারণেই এই বার্তায় আঘাত লেগেছে অসম্প্রদায়িক নাগরিক মহলের।

এই নিয়ে রাজনীতি করতে একটুও দেরি করেন নি তৃণমূল। এবার আর মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নয়, সামনে আনা হয়েছে এক সংখ্যালঘু বিধায়ককে। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির বলেন, “সুকান্তবাবুর এক মুহূর্তের জন্য কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে থাকা উচিত নয়। ওঁকে বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষিত মানুষ হয়ে বাড়িতে অস্ত্র রাখতে নিদান?” বস্তুত, আগামী বছর (২০২৬) এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলাদেশ ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে-ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। কখনও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, কখনও আবার তিনি নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা হিন্দুভোটকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রশ্ন উঠেছে, কেন বার বার করে ধৰ্মীয় সুড়সুড়ি হেওয়া হচ্ছে। কেন ‘হিন্দু’ বা ‘মুসলমান’ হওয়ার বার্তা। কেন ‘মানুষ’ হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন না রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা!